কিয়ামতের পূর্বে শেষ রমজান কেমন হবে

 প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করতে চলেছি কিয়ামতের পূর্বে শেষ রমজান কেমন হবে। সেই রমজানের মধ্যে আকাশ থেকে একটা বিকট শব্দ শোনা যাবে, সেটা কিসের শব্দ হবে এমন এক রমজান আসবে যার পর এক বছরের মধ্যে আমাদের প্রার্থীর জীবন শেষ হয়ে যাবে।



হ্যাঁ সেই রমজানের পরই কিয়ামত আসবে। সেই রমজানের আলামত কি হবে। মানুষ কিভাবে জানতে পারবে যে এটাই পৃথিবীর শেষ রমজান। জানতে হলে আমাদের সম্পূর্ণ পোস্টে পড়ুন।


কিয়ামতের পূর্বে শেষ রমজান কেমন হবে


কিয়ামতের বেশ কিছু আলামত বিভিন্ন হাদিসের কিতাবে এবং কোরআনে বর্ণিত হয়েছে। যাইহোক কিয়ামতের কিছু লক্ষণ ইতিপূর্বেই সত্য প্রমাণিত হয়েছে। যেমন হাদিসে রয়েছে কিয়ামতের আগে নিঃস্ব এবং নগ্ন পায়ের রাখালেরা উঁচু উঁচু বিল্ডিং নির্মাণের প্রতিযোগিতা করবে। আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি আরবরা উঁচু উঁচু খবর নির্মাণের চেষ্টা করছে।



অন্য এক হাদীসে বলা হয়েছে কিয়ামতের পূর্বে দাসী তার মনিবকে জন্ম দেবে। এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি উন্নত বিশ্বের অনেক দেশে সারোগেসি খুবই সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে ধনী লোকেরা তাদের সন্তানদের জন্ম দেওয়ার জন্য একজন মহিলাকে ভাড়া করে। একবার নবী মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন কিয়ামতের আগে জিনা ব্যাপক হয়ে যাবে।



কিছু মুসলিম দেশসহ বিশ্বের অনেক দেশগুলোতে চীনা ভাইরাস এর মত ছড়িয়ে পড়ছে। আস্তাকফিরুল্লাহ আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা আমাদের অবশ্যই এই ভাইরাস থেকে নিজেদের রক্ষা করতে হবে। আল্লাহ আমাদের এই পাপ থেকেই রক্ষা করুন এবং আমাদের ক্ষমা করুন । 



অন্য আরেক হাদিসে নবী মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন কিয়ামতের পূর্বে সময়ের বরকত চলে যাবে। সময় অনেক দ্রুত অতিক্রান্ত করবে। এখন আপনি অনুভব করতে পারেন যে আমাদের চারপাশের সবাই অভিযোগ করছে যে সময় কিভাবে দ্রুত চলে যায়। মনে হচ্ছে একটা বছর পার হচ্ছে এক মাসের মত। একটা মাস এক সপ্তাহের মতো চলে যায়, এক সপ্তাহ যাই একদিনের মত, এবং একটি দিন 1 মিনিটের মতো দ্রুত কেটে যায়।



এগুলোর মতই কিয়ামতের পূর্বে শেষ রমজানের মাঝেও এক নিদর্শন রয়েছে। নুয়াইম বিন হাম্মাদ তাঁর কিতাব উল ফিতানে একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, একবার নবী মোহাম্মদ সাঃ  বলেছেন কেয়ামতের আগে যে রমজান আসবে তখন লোকেরা রমজানে একটি বিকট আওয়াজ শুনতে পাবে। এই আওয়াজ এতটাই রহস্যময় ও ভয়ঙ্কর হবে যে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীরা ভয় পেয়ে যাবে এবং সবাই সেই আওয়াজের উৎস খোঁজার চেষ্টা করবে


কিন্তু তারা সেই আওয়াজের উৎস খুঁজে পাবে না। সেই রমজানের পর থেকে মানুষ তাদের ঘরের মধ্যে এক বছরের খাবার জমা করা শুরু করবে। কারণ সেই আওয়াজের পর জমিনে ফসল হবে না এবং মানুষ অনাহারে থাকবে। ব্যাপক দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে, প্রিয় ভাই ও বোনেরা মুসলমান হিসেবে আমরা কেয়ামত দিবসে বিশ্বাস করি এবং কিয়ামতের দিন সম্পর্কে আমাদের মনে কোন সন্দেহ নেই। তাই আমাদের উচিত সেই দিনের জন্য নিজেদের প্রস্তুত থাকা। সেই দিনের জন্য বেশি বেশি নেক আমল করা।


রমজান থেকে মনে এলো আপনারা কি জানতে চান আরাফার রোজার ফজিলত সম্পর্কে কিছু তথ্য তাহলে এইখানে লিঙ্ক করা আছে আপনি চাইলে দেখে আসতে পারেন এবং এ বিষয় সকল তথ্য আমি আশা করি আপনি পেয়ে জাবেন। 

Post a Comment

Previous Post Next Post