এক দুষ্টু জিন রসূল সা: কে অপমান করতে আসে তারপর যা হয়

 প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা জানতে চলেছি একবার এক দুষ্টু জীন রসূল সা: কে অপমান করতে আশে তারপর যা হয়।


একবার এক শয়তান জ্বীন ওয়ালিদ নামের এক কাফেরের স্বর্ণের মূর্তির ভেতরে প্রবেশ করে রাসূল সাঃ এর ব্যাপারে বাজে বাজে মন্তব্য করতে শুরু করেছেন তারপর রাসূল সাঃ সেই জিনের সাথে কি আচরণ করেছিলেন তার বিস্তারিত জানবো আমরা এই পোস্টে।


এক দুষ্টু জিন রসূল সা: কে অপমান করতে আসে তারপর যা হয়



রাসূল সাঃ  এর সময় মক্কাতে ওয়ালিদ নামের এক কাফের বাস করতেন আর তার অনেক বড় একটি স্বর্ণের মূর্তি ছিল আর সেই স্বর্ণের মূর্তির পূজা করত আর এই কাফের ওয়ালিদ হাটে-ঘাটে মাঠে ময়দানে সব স্থানে রাসূলুল্লাহ সাঃ  এর বিরোধিতা করতো একদিন ওয়ালিদ নামের সেই ব্যক্তিটি তার মূর্তিকে নাড়াচাড়া করতে দেবে এমনকি একটা পর্যায়ে সেই স্বর্ণের মূর্তি তার সাথে কথা বলতে শুরু করলো আর বলতে লাগলো এই মানুষ তোমরা জেনে রাখ মুহাম্মদ সাঃ কখনো আল্লাহর নবী নন। নাউজুবিল্লাহ।




এরপর সেই যে আরো বলে এজন্য তোমরা তার কথা কেউ বিশ্বাস করবে না এবং তার সাথে কোন সম্পর্ক স্থাপন করবে না। এটি শুনে কাফের ওয়ালিদ মহা খুশি হয়ে গেল। এবং বাইরে এসে চিৎকার চেঁচামেচি করে তারা সকল কাফের সাথীদেরকে আসতে বলল এবং বলতে থাকলো আমার মাবুদ আজ আমার সাথে কথা বলেছে পরিষ্কার ভাষায় কথা বলেছে বলেছে মোহাম্মদ আল্লাহর রাসূল নয়। এটি শোনার পর তার সাথীরা ঘরে আসলেও এবং সত্যি তারা মূর্তির মুখ থেকে কথাগুলো শুনে একটু আশ্চর্য হয়ে গেল।



এবং এই মূর্তির প্রতি তাদের ঈমান আরো বেড়ে গেল। খুশি হয়ে একে অপরজনের কাছে বলতে থাকলো এবং মুহাম্মদ সাঃ  বিরোধীরা একজট হতে থাকলো। তাদের অন্তরে ও রাসূল সাঃ  এর প্রতি ঘৃণা আরো বাড়তে থাকল। পরেরদিন ওয়ালির সকল মানুষ জনকে ডেকে তার সেই ঘরের একটি বৈঠকের আয়োজন করলেও যাতে হাজার হাজার মানুষ তার মূর্তির কথাগুলো শুনতে পারে। যখন বিশাল বড় বৈঠকের আয়োজন করা হয় সেখানে মোহাম্মদ সাঃ কেও দাওয়াত দেওয়া হয় জাতীয় প্রকাশ্যে সবার সামনে মুহাম্মদ সাঃ  কে অপমান করা যায়।



সে নিষ্প্রাণ মুক্তির কথা শুনে। এরপর রসুল সাঃ সেখানে তাশরিফ নিয়ে গেলেন। মজার ব্যাপার যখনই সেখানে উপস্থিত করা হলো মূর্তিটিকে এবং বলা হলো হে আমার খোদা তুমি বলো মোহাম্মদ সম্পর্কে তোমার কি বলার আছে ।নাউজুবিল্লাহ। সেই মূর্তিটি সবাইকে অবাক করে দিয়ে বলতে থাকলো হে মক্কাবাসী তোমরা ভালো করে জেনে রাখ যে হযরত মুহাম্মদ সাঃ আল্লাহর রাসূল, তার কথাই সত্য, এবং তার দিনই চিরস্থায়ী।



তোমরা এবং তোমাদের সাথীরা খুবই মিথ্যাবাদী আর চক্রান্তে লিপ্ত আর এই ভর্তিটি তোমাদেরকে গোমরাহ করেছিল যদি তোমরা রাসূলের উপর ঈমান না নিয়ে আসো তাহলে অবশ্যই তোমাদের স্থান জাহান্নামে হবে। তোমরা শুধুমাত্র তোমাদের বিবেককে কাজে লাগিয়ে এই মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহর প্রতি ঈমান নিয়ে আসো মূর্তির মুখে এমন কথা শুনে সে ওয়ালিদ তো আকাশ থেকে পড়লো। মেজাজ হারিয়ে বলল নাফরমান মূর্তি বেইমান তুই দুইদিন আগে কি বলেছিস আর এখন কি বলছিস। এসব মূর্তিটি কি উপরে তুলে আছাড় মারলো যার ফলে স্বর্ণের সেই মূর্তিটি কয়েক টুকরায় ভাগ হয়ে গেল।




অতঃপর  সভা স্থল থেকে মোহাম্মদ সাঃ যখন বাড়ি ফিরছিলেন তখন তিনি ঘোড়ায় করে তলোয়ার হাতে এক বীর যোদ্ধাকে তার দিকে এগিয়ে আসতে দেখলেন যার তরোয়ালের অগ্রভাগ থেকে রক্ত ঝরছে তখন রাসুল সাঃ জিজ্ঞেস করলেন তুমি কে তখন সেই ব্যক্তিটি উত্তর দিল হুজুর আমি জিন আমি আপনার একজন উম্মত এবং মুসলমান। আমি যাবলিদ নামক অঞ্চলে বসবাস করি আমার নাম মহিন বিন আল আবহার। 


কিছুদিনের জন্য বাইরে গিয়েছিলাম আর এসে দেখি আমার ঘরের মানুষেরা কান্না করছে। আমি যখন জিজ্ঞেস করি সবাই কান্না করছো কেন? তখন জানতে পারলাম যে কাফের জিন যার নাম মুশফিক। সে মক্কাতে আসে এবং কাফের ওয়ালিদের মূর্তির ভিতরে প্রবেশ করি আপনার নামে যা তা বাক্য বলছিল। আর আজকেও সে প্রকাশ্য মজলিসে গিয়েছিল যাতে সে মুক্তির উপর ভর করে মানুষকে আপনার নামে খারাপ মন্তব্য করতে পারে।




ইয়া রাসূলুল্লাহ আমার হৃদয় প্রান থাকতে আমি কিছুতেই আপনার অপমান সহ্য করতে পারিনি। তাই পিছু ছুটে ছুটতে এক পর্যায়ে আমি তাকে ধরে ফেললাম এবং সেখানেই তাকে হত্যা করলাম। তারপর আমি নিজেই সেই মূর্তির ভিতরে প্রবেশ করে দোজাহানের বাদশা মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সম্পর্কে সঠিক বাক্য মানুষকে শুনিয়ে দিলাম। তার মুখ থেকে এই কথাগুলো শুনে রাসূল সাঃ অত্যন্ত খুশি হয়ে গেলেন এবং সেই আবহাওয়ার জিনের জন্য দোয়া করলেন। 



রাসূল সাঃ জিনদেরও নবী ছিলেন। এ নিয়ে পবিত্র কুরআনে একটি সূরা রয়েছে সূরাতুল জিন। এই ঘটনা থেকে আমরা জানতে পারি যে মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর বিরুদ্ধে যারা কুৎসা রটনা করে তাদেরকে আল্লাহ কখনো ছেড়ে দেন না।

Post a Comment

Previous Post Next Post